হইচই প্লাটফর্মে ‘হ্যালো রিমেম্বার মি’ সিরিজের ৮টি এপিসোড দেখানো হয়েছে। রিমেক নয়, নতুন গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের ‘হ্যালো রিমেম্বার মি’ সিরিজ। এবারের এপিসোডে দেখানো হয়েছে ভালবাসার জটিল খেলা। সেই খেলায় মুখোমুখি পায়েল সরকার ও ইশা সাহা । দু’জনের সমকামীতার চরিত্রকে কেন্দ্র করেই সাজানো হয়েছে সিরিজের আটটি এপিসোডের কাহিনি।

হইচই প্লাটফর্মে যৌনতা দেখানো নতুন কিছু নয়। এর আগেও অনেক সিরিজে ভরপুর যৌনতা দেখানো হয়েছে। তবে এবারের ‘হ্যালো রিমেম্বার মি’ সিরিজটি সম্পূর্ন আলাদা। এই সিরিজে সমকামীতাকে উসকে দেয়া হয়েছে। শুরু থেকেই এই সিরিজ নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছে, অনৈতিক সম্পর্ক দেখানোর মাধ্যমে এই সিরিজ সমাজ নষ্ট করছে।

অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘হ্যালো রিমেম্বার মি’ সিরিজে মালিনী ওরফে মিলির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইশা। পায়েলকে রয়েছেন তরীর ভূমিকায়। স্বামী আবিরের (সৌরভ চক্রবর্তী) সঙ্গে পাহাড়ে গিয়েছিল অন্তঃসত্ত্বা মিলি। সঙ্গে ছিল শাশুড়ি লাবণী সরকার ও ননদ। আচমকা সেখানে তরীর সঙ্গে দেখা হয়। কে তরী?

তরী মালিনীর প্রাক্তন প্রেমিকা। যাঁর সঙ্গে সে প্রায় তিন বছর লিভ-ইন সম্পর্কে ছিল। পুরনো প্রেম ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে তরী। প্রাক্তন প্রেমিকার পিছু নিয়ে সে চলে আসে কলকাতা। আবিরের কাছ থেকে কাজ শেখার অজুহাতে মালিনীরই শশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠে তরী। এরপরই শুরু হয় সম্পর্কের লুকোচুরি খেলা। সিরিজে মালিনীর শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লাবণী সরকার। তাঁর জায়ের ভূমিকায় রয়েছেন পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়। এই দুই চরিত্রের মধ্যেও সমকামী সম্পর্কের আভাস দেওয়া হয়েছে।

ওয়েবপ্রেমীরা সমকামীতার গল্পে নির্মিত এই সিরিজের প্রতি আগে থেকেই বিরক্ত। প্রতিটি এপিসোডে সমকামীতা দেখানোই অনেকেই থুথু দিচ্ছে হইচই কর্তৃপক্ষকে। নেটিজেনরা মনে করছে, এই ধরনের সিরিজ সমাজ অবক্ষয়ের জন্য প্রবলভাবে দায়ী। এবারের এপিসোড দেখে অনেকেই অবিলম্বে ‘হ্যালো রিমেম্বার মি’ সিরিজ বন্ধের দাবি তুলেছে।
