জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘গৌরী এলো’। এই সিরিয়ালের দর্শক বেশি তাই এই সিরিয়াল নিয়ে সমালোচনাও হয় বেশি। এর মূল কারণ এই সিরিয়ালের গল্পের অতিরঞ্জকতা, কুসংস্কার এবং যুক্তির অভাব। ফের একবার ট্রোলের মুখে ‘গৌরী এলো’ সিরিয়াল।
‘গৌরী এলো’ সিরিয়ালে শুরু থেকেই দেখানো হয়েছে গল্পের নায়ক এবং নায়িকা দুজনেই মহাদেব এবং কালী মায়ের আশীর্বাদে ধন্য। যদিও ঈশান আধুনিক চিন্তাধারার মানুষ, পেশায় ডাক্তার। তিনি অলৌকিক শক্তির উপর তাঁর মোটেই বিশ্বাস নেই। অন্যদিকে ‘ঘোমটা কালী’ মায়ের ভক্ত গৌরীর ধ্যান জ্ঞান যেন মা ‘কালী’। দর্শকরা জানেন, গৌরী এবং ঈশান আসলে মা কালী এবং মহাদেবের অংশ।
কিন্তু গৌরী যে বিশেষ কেউ সেটা বুঝতে পেরে, ছোট দাদু তাকে নিজের অর্থ এবং ক্ষমতার লোভ চরিতার্থ করতে কাজে লাগায়। কুটিল ষড়যন্ত্র করে গৌরীকে ঈশানের থেকে দূরে সরিয়ে তাকে ‘গৌরী মা’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। অন্যদিকে এতদিন নিজের মেয়ে শৈলকে দেবীর অংশ হিসাবে প্রচার করলেও নিজের স্বার্থ ফুরাতে তাকেও ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় ছোট দাদু। এতে গৌরীর উপরে ক্ষোভে, হিংসায় আরোই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন শৈল মা। এভাবেই নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে এগুতে থাকে ‘গৌরী এলো’র গল্প।
তবে এবার গল্পে কিছুটা বদল আনা হয়েছে। নতুন প্রোমোতে দেখানো হয়েছে, ঈশানের হাতে পাতাল থেকে উঠে এলো শিবলিঙ্গ। গৌরী ও ঈশানের চেষ্টায় শ্যামচকের জমিদারবাড়ির মন্দিরে আবার প্রতিষ্ঠা হলেন মহাদেব!
এটা দেখে অনেকেই ‘হর হর মহাদেব’ বলে স্বাগত জানিয়েছে। ঈশানের হাতে শিবলিঙ্গ দেখে কেউ কেউ আবার ঠাট্টা করে বলছে, ‘গরীবের বাহুবলী’। সমাজমাধ্যমে একজন লিখেছে, ‘সিরিয়াল গুলোতে ঠাকুর দেবতা নিয়ে যতো যব আজগুবি বানাচ্ছে। যা পারছে তাই করছে, তাই দেখাচ্ছে , মাথা মুন্ডু কিছু নেই’। আরেকজন লিখেছেন, ঝকঝকে নতুন শিবলিঙ্গ, ওয়াও৷ ডিটেইলিং, আর্ট ডিরেকশন বলে কিছুই নেই’। অন্য একজন লিখেছে, ‘সব থেকে বিরক্তিকর সিরিয়াল, সবটাই ঢপ’
অনেক দিন থেকেই ‘গৌরী এলো’ সিরিয়ালে কুসংষ্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন নেটিজেনরা। এই ধরণের সিরিয়ালে সমাজে ভুল বার্তা যাচ্ছে বলে দাবি উঠেছে। অবিলম্বে গৌরী এলো সিরিয়ালটি বন্ধ করার দাবিও তুলছেন কেউ কেউ।