গত সপ্তাহেই স্টার জলসায় শুরু হয়েছে নতুন সিরিয়াল ‘বাংলা মিডিয়াম’। ‘বাংলা মিডিয়াম’ সিরিয়ালের মাধ্যমেই দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর টিভি পর্দায় ফিরেছেন ‘নীল ভট্টাচার্য’ এবং ‘তিয়াসা লেপচা’। ‘কৃষ্ণকলি’ সিরিয়ালের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই জুটি ‘বাংলা মিডিয়াম’ সিরিয়ালেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। এই সপ্তাহের টিআরপি তালিকা তারই প্রমাণ। এবারের টিআরপি তালিকায় ৭.৮ রেটিং নিয়ে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ‘বাংলা মিডিয়াম’ ও ‘পঞ্চমী’।
‘বাংলা মিডিয়াম’ সিরিয়াল নিয়ে শুরু থেকেই যেরকম আলোচনা হচ্ছে তেমনি সমালোচনাও থেমে নেই। বাংলা মিডিয়ামে পড়া মেয়েরাও যে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষিকা হতে পারে, সেই চ্যালেঞ্জে নায়িকা ইন্দিরা কীভাবে জিতে যায়, শুরু থেকে তার উপর ভিত্তি করেই এগোচ্ছে এই সিরিয়ালের গল্প। ইন্দিরা গ্রামের সাধারণ বাংলা মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করে। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে কলকাতার একটি নামী ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি পায় সে।
ইন্দিরা সবে স্কুলে যোগ দিয়েছে। এরমধ্যে প্রথম দিনই কেমিস্ট্রি ল্যাবে আগুন লেগে যায়। ইন্দিরা অ্যাসিডের মধ্যে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে সেই আগুন নিভিয়ে ফেলে। এই দৃশ্য দেখে নেটদুনিয়ায় তুমুল সমালোচনা হয়েছে।অনেকেই আবার এরকম অবাস্তব প্লট দেখে হাসি ঠাট্টায় মেতেছে।
শুধু অ্যাসিডের মধ্যে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে ল্যাবের আগুন নেভানোর জন্যই যে সমালোচনা হচ্ছে, বিষয়টা এমন নয়। নায়কের লুক নিয়েও কটাক্ষ করছেন নেটিজেনরা। দর্শকদের একাংশ, ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষকের চুলের স্পাইক কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।
https://www.facebook.com/watch/?v=469187598620613
এছাড়া বাংলা মিডিয়াম সিরিয়ালের একটি পর্ব নিয়েও চলছে তুমুল বিতর্ক। বিতর্কিত সেই পর্বে দেখানো হয় এক ছাত্র রিভলবার নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। তবে ধরা পড়লেও সেই ছাত্রদের শাস্তির ব্যবস্থা না করে বরং সকলে ইন্দিরাকেই দোষী সাব্যস্ত করতে উঠে পড়ে লাগে। এমনকি তার চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে, স্কুলের একজন ছাত্রের হাতে বন্দুক আসে কোথা থেকে? কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করে বলছে, কোন স্কুলে স্টুডেন্টরা রিভলবার নিয়ে যায়? তবে সমালোচনা হলেও এই সিরিয়াল শ্রীঘ্রই টিআরপি তালিকায় বাজিমাত করবে এমনই প্রত্যাশা করছে দর্শকরা।